ঢাকা ১০:৪৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ০৯ মে ২০২৫, ২৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজ ::
আকাশ ও স্থল পথে ভারতে একের পর এক হামলা চালিয়ে যাচ্ছে পাকিস্তান কসবা সীমান্তে বিএসএফের গুলি, বাংলাদেশির মৃত্যু সারাদেশে জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধনের সুখবর কুমিল্লা জেলা রোভারের কোর্স ফর রোভার মেট কোর্সের সনদ প্রদান বাংলাদেশে ঈদের সম্ভাব্য তারিখ জানালো আবহাওয়া অফিস কুমিল্লা জেলা রোভারের মহান স্বাধীনতা দিবস উদযাপন কুমিল্লা আইডিয়াল কলেজে মহান স্বাধীনতা দিবস উদযাপন প্রথম আলো কুমিল্লা বন্ধুসভার ব্যবস্থাপনায় এম সাদেক স্মৃতি পাঠাগার উদ্বোধন বাংলাদেশ কলেজ শিক্ষক সমিতি কুমিল্লা জেলার উদ্যোগে আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিল কুমিল্লা আইডিয়াল কলেজ রোভার স্কাউট গ্রুপ কমডেকায় অংশগ্রহনকারীদের সনদ প্রদান

শিকারির কাছ থেকে পাখি উদ্ধারের পর রাবি ক্যাম্পাসে অবমুক্ত

বাংলাদেশের বার্তা
  • আপডেট সময় : ০৪:২৫:৩৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ অগাস্ট ২০২২
  • / ৯৬৫০ বার পড়া হয়েছে
বাংলাদেশের বার্তা অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক. রাবি॥

চাঁপাইনবাবগঞ্জের এক শিকারির কাছ থেকে ৪টি টিয়া পাখি উদ্ধার করে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) ক্যাম্পাসে অবমুক্ত করেছেন ডীপ ইকোলজি এন্ড স্নেক রেসকিউ ফাউন্ডেশন (ডেসরফ) রাবি শাখা ও রাজশাহী বনবিভাগ।

বৃহস্পতিবার (১৮ আগস্ট) বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বাস ভবনের সামনের প্যারিস রোডে পাখিগুলো অবমুক্ত করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র উপদেষ্টা এম তারেক নূর।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সোশ্যাল মিডিয়াতে টিয়া পাখির বিক্রয় পোস্ট দেখে ডেসরফের কর্মী বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের শিক্ষার্থী মোঃ নাজমুল হোসেন ও ক্লিনিক্যাল সাইকোলজির সামিমা তাসনীম ক্রেতা সেজে বিক্রেতার সাথে যোগাযোগ করেন এবং রাজশাহী বনবিভাগকে বিষয়টি অবগত করেন। পরিকল্পনা অনুযায়ী, ১৮ আগস্ট বিক্রেতাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজলা গেটে পাখি নিয়ে আসতে বলা হয়। এদিকে বিক্রেতা পাখি নিয়ে আসলে তাকে প্যারিস রোডে হাতেনাতে ধরা হয়।

অতঃপর বনবিভাগের কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের মাধ্যমে জরুরি মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে বন্যপ্রাণী আইন ২০১২ অনুযায়ী বিক্রেতাকে শাস্তির আওতায় আনা হয়।

এ অভিযানের অন্য সদস্যরা হলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা বিভাগের মিজানুর রহমান তাসিব। ডেসরফের সদস্য মতিয়ার হোসেন, হৃদয় হোসেন, প্রাচ্য, হাসিবুল হাসান ও বন বিভাগের কর্মকর্তারা।

এ বিষয়ে রাজশাহী বনবিভাগের বন্যপ্রাণী পরিদর্শক জাহাঙ্গীর কবীর জাগো নিউজকে বলেন, পাখি পরিবেশের অলংকার ও সমাজের সৌন্দর্য। আমাদের দেশে একশ্রেণি অসাধু লোক যারা বিভিন্ন মাধ্যমে পাখি শিকার করে পরিবেশ নষ্ট করছেন। এমনই এক শিকার করে বিক্রি করতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয় এক শিক্ষার্থী আমাদের সাথে যোগাযোগ করেন। আমরা তাদের সাথে মিলে শিকারিকে আটক করে পাখিগুলোকে অবমুক্ত করি।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র উপদেষ্টা তারেক নূর জাগো নিউজকে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের এমন কাজগুলো আমাদেরকে অনুপ্রাণিত করে। বন্যপ্রাণীরা অনেক সময় লোকালয়ে চলে আসে সেগুলোকে তারা ঝুঁকি নিয়ে রেসকিউ করে আবার তাদেরকে নিরাপদ জায়গায় অবমুক্ত করেন। তারা পরিবেশকে কোলাহল মুক্ত রাখার জন্য এ কাজগুলো করে যাচ্ছেন। তাদের এমন কার্ডকে আমরা সাধুবাদ জানাই এবং তাদের এমন কর্মকান্ডের সাথে আমরা ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে থাকতে চাই।

শিক্ষার্থীদের এমন কাজের প্রশংসা করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ড. এ. এম. সালেহ রেজা। তিনি জাগো নিউজকে বলেন, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্যাম্পাসে অনেক টিয়া পাখির বসবাস রয়েছে। আমি ধন্যবাদ জানাই বিশ্ববিদ্যালয় ডেসরফ সংগঠন ও রাজশাহী বনবিভাগকে যারা টিয়া পাখিগুলো উদ্ধার করে তাদের মাতৃকুলে ফিরে যাওয়ার জন্য অবমুক্ত করেছেন।

অবমুক্তের সময় আরো উপস্থিত ছিলেন বন্যবিভাগের কর্মকর্তারা ও ডেসরফ রাবি শাখারা অন্যান্য সদস্যরা।

এইচ/কে

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

শিকারির কাছ থেকে পাখি উদ্ধারের পর রাবি ক্যাম্পাসে অবমুক্ত

আপডেট সময় : ০৪:২৫:৩৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ অগাস্ট ২০২২

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক. রাবি॥

চাঁপাইনবাবগঞ্জের এক শিকারির কাছ থেকে ৪টি টিয়া পাখি উদ্ধার করে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) ক্যাম্পাসে অবমুক্ত করেছেন ডীপ ইকোলজি এন্ড স্নেক রেসকিউ ফাউন্ডেশন (ডেসরফ) রাবি শাখা ও রাজশাহী বনবিভাগ।

বৃহস্পতিবার (১৮ আগস্ট) বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বাস ভবনের সামনের প্যারিস রোডে পাখিগুলো অবমুক্ত করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র উপদেষ্টা এম তারেক নূর।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সোশ্যাল মিডিয়াতে টিয়া পাখির বিক্রয় পোস্ট দেখে ডেসরফের কর্মী বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের শিক্ষার্থী মোঃ নাজমুল হোসেন ও ক্লিনিক্যাল সাইকোলজির সামিমা তাসনীম ক্রেতা সেজে বিক্রেতার সাথে যোগাযোগ করেন এবং রাজশাহী বনবিভাগকে বিষয়টি অবগত করেন। পরিকল্পনা অনুযায়ী, ১৮ আগস্ট বিক্রেতাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজলা গেটে পাখি নিয়ে আসতে বলা হয়। এদিকে বিক্রেতা পাখি নিয়ে আসলে তাকে প্যারিস রোডে হাতেনাতে ধরা হয়।

অতঃপর বনবিভাগের কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের মাধ্যমে জরুরি মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে বন্যপ্রাণী আইন ২০১২ অনুযায়ী বিক্রেতাকে শাস্তির আওতায় আনা হয়।

এ অভিযানের অন্য সদস্যরা হলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা বিভাগের মিজানুর রহমান তাসিব। ডেসরফের সদস্য মতিয়ার হোসেন, হৃদয় হোসেন, প্রাচ্য, হাসিবুল হাসান ও বন বিভাগের কর্মকর্তারা।

এ বিষয়ে রাজশাহী বনবিভাগের বন্যপ্রাণী পরিদর্শক জাহাঙ্গীর কবীর জাগো নিউজকে বলেন, পাখি পরিবেশের অলংকার ও সমাজের সৌন্দর্য। আমাদের দেশে একশ্রেণি অসাধু লোক যারা বিভিন্ন মাধ্যমে পাখি শিকার করে পরিবেশ নষ্ট করছেন। এমনই এক শিকার করে বিক্রি করতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয় এক শিক্ষার্থী আমাদের সাথে যোগাযোগ করেন। আমরা তাদের সাথে মিলে শিকারিকে আটক করে পাখিগুলোকে অবমুক্ত করি।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র উপদেষ্টা তারেক নূর জাগো নিউজকে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের এমন কাজগুলো আমাদেরকে অনুপ্রাণিত করে। বন্যপ্রাণীরা অনেক সময় লোকালয়ে চলে আসে সেগুলোকে তারা ঝুঁকি নিয়ে রেসকিউ করে আবার তাদেরকে নিরাপদ জায়গায় অবমুক্ত করেন। তারা পরিবেশকে কোলাহল মুক্ত রাখার জন্য এ কাজগুলো করে যাচ্ছেন। তাদের এমন কার্ডকে আমরা সাধুবাদ জানাই এবং তাদের এমন কর্মকান্ডের সাথে আমরা ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে থাকতে চাই।

শিক্ষার্থীদের এমন কাজের প্রশংসা করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ড. এ. এম. সালেহ রেজা। তিনি জাগো নিউজকে বলেন, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্যাম্পাসে অনেক টিয়া পাখির বসবাস রয়েছে। আমি ধন্যবাদ জানাই বিশ্ববিদ্যালয় ডেসরফ সংগঠন ও রাজশাহী বনবিভাগকে যারা টিয়া পাখিগুলো উদ্ধার করে তাদের মাতৃকুলে ফিরে যাওয়ার জন্য অবমুক্ত করেছেন।

অবমুক্তের সময় আরো উপস্থিত ছিলেন বন্যবিভাগের কর্মকর্তারা ও ডেসরফ রাবি শাখারা অন্যান্য সদস্যরা।

এইচ/কে