ঢাকা ০৮:৩০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৪, ৩ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নবীন শিক্ষার্থীদের বরণ করলো রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় |  বাংলাদেশের বার্তা 

বাংলাদেশের বার্তা
  • আপডেট সময় : ০৮:০৭:১৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৩
  • / ৯৬০৮ বার পড়া হয়েছে
বাংলাদেশের বার্তা অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

মনির হোসেন মাহিন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক,রাবি:

২০২১-২০২২ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের নবীন শিক্ষার্থীদের বরণ করলো রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) প্রশাসন। সোমবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজী নজরুল ইসলাম মিলনায়তনে জমকালো আয়োজনের মাধ্যমে নবাগত শিক্ষার্থীদের গোলাপফুল ও শিক্ষা সামগ্রী দিয়ে বরণ করে নেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. গোলাম সাব্বির সাত্তার।

বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক আব্দুস সালামের সঞ্চালনায় নবীন শিক্ষার্থীদের স্বাগত জানিয়ে রাবি উপাচার্য বলেন, তোমরা তোমাদের মেধার স্বাক্ষরের পরিচয় দিয়ে এখানে এসেছো। বাংলাদেশে যত বিশ্ববিদ্যালয়ের রয়েছে তার মধ্যে রাবি অনন্য। পূর্ব বঙ্গে যখন শিক্ষা শুরু হয়নি তখন এ ক্যাম্পাসে শিক্ষা শুরু হয়েছে। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় হঠাৎ করে গড়ে ওঠেনি। আমাদের থেকে তোমরা ৪০ বছর এগিয়ে আছো, আমরা যেখানে স্বপ্ন দেখতে পারি না সেখানে তোমাদের স্বপ্ন দেখার অনেক সুযোগ রয়েছে।

শিক্ষার্থীদেরকে উপদেশ দিয়ে এ উপাচার্য বলেন, জ্ঞানের যতগুলো শাখা রয়েছে সব শাখাতেই তোমাদের বিচরণ থাকতে হবে। শিক্ষার কোনো মুহুর্তই যেন তোমাদের জীবন থেকে হারিয়ে না যায়। বিশ্ববিদ্যালয়ে নানা পথ ও মত রয়েছে। সেগুলো থেকে তোমাদের ভালো পথ বেছে নিয়ে এগোতে হবে।
শিক্ষকরা কষ্টের ফলে পাঠদান করাবে সেখান থেকে তোমাদের জ্ঞানের দরজা উন্মুক্ত হবে। তোমরা এমন শিক্ষা নিয়ে দেশ গড়ল যাতে নিজেকে শানিত করে জাতির কাজে লাগে।
তুমি সাহস করে সত্যের পথে পা বাড়াবে। সত্যের পথে অনেক বাঁধা আসবে সব বাঁধা মোকাবিলা করে নিজের পথ নিজেই খুঁজে নিতে হবে।

স্মার্ট বাংলাদেশের স্মার্ট সৈনিক হিসেবে গড়ে ওঠতে হবে এমন নির্দেশনা দিয়ে সভাপতির বক্তব্যে রাবি উপ-উপাচার্য অধ্যাপক মো: হুমায়ুন কবীর বলেন, তোমাদের মতো নবীন শিক্ষার্থীদের পেয়ে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় গর্বিত। নবীন শিক্ষার্থীদের কাজ হচ্ছে শুধু পড়াশোনা, পড়াশোনা ও পড়াশোনা করা। পড়াশোনাই তোমাদের মূল কাজ তারপর অন্যসব কার্যক্রম।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. সুলতান-উল-ইসলাম বলেন, তোমরা অধ্যাবসায়ের ফলে জীবন যুদ্ধে জয়ী হয়ে এখানে এসেছো। তোমরাই আগামী দিনের ভবিষ্যতে ও দেশ পরিচালনা করবে। তোমাদের হয়ে উঠতে হবে মানবিক গুণসম্পন্ন মানুষ। তোমরা বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে বিভিন্ন সেক্টরে কাজ করে দেশ উন্নয়ন ও বিশ্ববিদ্যালয়ের মূখ উজ্জ্বল করতে ভুমিকা রাখবে বলে তোমাদের কাছে আমাদের প্রত্যাশা।

নবীন বরণে অংশ নিয়ে আবেগ আপ্লূত হয়ে গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থী সাবিনা ইয়াসমিন বলেন, এমন জমকালো আয়োজনের মাধ্যমে আমাদেরকে বরণ করে নিবে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কখনো ভাবিনি। এমন ভাবেই যেন আমাদেরকে কাছে রাখে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। রাবি ক্যাম্পাসে ভর্তি হতে পেরে নিজেকে গর্বিত মনে করছেন এ শিক্ষার্থী।

এসময় বিশেষ অতিথির আসনে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. অবাইদুর রহমান প্রামাণিক, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. আসাবুল হক, ছাত্র উপদেষ্টা এম তারেক নূর, জনসংযোগ প্রশাসক অধ্যাপক ড. প্রদীপ কুমার পান্ডে, বিভিন্ন অনুষদের ডীন, হলের প্রাধ্যক্ষৃন্দ, সহকারী প্রক্টরবৃন্দ, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরাসহ তিন হাজারের অধিক নবীন শিক্ষার্থী এখানে উপস্থিত ছিলেন।

সাংস্কৃতিক আয়োজনের মধ্য দিয়ে শেষ হয় নবীন বরণ পর্ব।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

নবীন শিক্ষার্থীদের বরণ করলো রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় |  বাংলাদেশের বার্তা 

আপডেট সময় : ০৮:০৭:১৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৩

মনির হোসেন মাহিন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক,রাবি:

২০২১-২০২২ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের নবীন শিক্ষার্থীদের বরণ করলো রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) প্রশাসন। সোমবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজী নজরুল ইসলাম মিলনায়তনে জমকালো আয়োজনের মাধ্যমে নবাগত শিক্ষার্থীদের গোলাপফুল ও শিক্ষা সামগ্রী দিয়ে বরণ করে নেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. গোলাম সাব্বির সাত্তার।

বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক আব্দুস সালামের সঞ্চালনায় নবীন শিক্ষার্থীদের স্বাগত জানিয়ে রাবি উপাচার্য বলেন, তোমরা তোমাদের মেধার স্বাক্ষরের পরিচয় দিয়ে এখানে এসেছো। বাংলাদেশে যত বিশ্ববিদ্যালয়ের রয়েছে তার মধ্যে রাবি অনন্য। পূর্ব বঙ্গে যখন শিক্ষা শুরু হয়নি তখন এ ক্যাম্পাসে শিক্ষা শুরু হয়েছে। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় হঠাৎ করে গড়ে ওঠেনি। আমাদের থেকে তোমরা ৪০ বছর এগিয়ে আছো, আমরা যেখানে স্বপ্ন দেখতে পারি না সেখানে তোমাদের স্বপ্ন দেখার অনেক সুযোগ রয়েছে।

শিক্ষার্থীদেরকে উপদেশ দিয়ে এ উপাচার্য বলেন, জ্ঞানের যতগুলো শাখা রয়েছে সব শাখাতেই তোমাদের বিচরণ থাকতে হবে। শিক্ষার কোনো মুহুর্তই যেন তোমাদের জীবন থেকে হারিয়ে না যায়। বিশ্ববিদ্যালয়ে নানা পথ ও মত রয়েছে। সেগুলো থেকে তোমাদের ভালো পথ বেছে নিয়ে এগোতে হবে।
শিক্ষকরা কষ্টের ফলে পাঠদান করাবে সেখান থেকে তোমাদের জ্ঞানের দরজা উন্মুক্ত হবে। তোমরা এমন শিক্ষা নিয়ে দেশ গড়ল যাতে নিজেকে শানিত করে জাতির কাজে লাগে।
তুমি সাহস করে সত্যের পথে পা বাড়াবে। সত্যের পথে অনেক বাঁধা আসবে সব বাঁধা মোকাবিলা করে নিজের পথ নিজেই খুঁজে নিতে হবে।

স্মার্ট বাংলাদেশের স্মার্ট সৈনিক হিসেবে গড়ে ওঠতে হবে এমন নির্দেশনা দিয়ে সভাপতির বক্তব্যে রাবি উপ-উপাচার্য অধ্যাপক মো: হুমায়ুন কবীর বলেন, তোমাদের মতো নবীন শিক্ষার্থীদের পেয়ে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় গর্বিত। নবীন শিক্ষার্থীদের কাজ হচ্ছে শুধু পড়াশোনা, পড়াশোনা ও পড়াশোনা করা। পড়াশোনাই তোমাদের মূল কাজ তারপর অন্যসব কার্যক্রম।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. সুলতান-উল-ইসলাম বলেন, তোমরা অধ্যাবসায়ের ফলে জীবন যুদ্ধে জয়ী হয়ে এখানে এসেছো। তোমরাই আগামী দিনের ভবিষ্যতে ও দেশ পরিচালনা করবে। তোমাদের হয়ে উঠতে হবে মানবিক গুণসম্পন্ন মানুষ। তোমরা বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে বিভিন্ন সেক্টরে কাজ করে দেশ উন্নয়ন ও বিশ্ববিদ্যালয়ের মূখ উজ্জ্বল করতে ভুমিকা রাখবে বলে তোমাদের কাছে আমাদের প্রত্যাশা।

নবীন বরণে অংশ নিয়ে আবেগ আপ্লূত হয়ে গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থী সাবিনা ইয়াসমিন বলেন, এমন জমকালো আয়োজনের মাধ্যমে আমাদেরকে বরণ করে নিবে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কখনো ভাবিনি। এমন ভাবেই যেন আমাদেরকে কাছে রাখে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। রাবি ক্যাম্পাসে ভর্তি হতে পেরে নিজেকে গর্বিত মনে করছেন এ শিক্ষার্থী।

এসময় বিশেষ অতিথির আসনে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. অবাইদুর রহমান প্রামাণিক, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. আসাবুল হক, ছাত্র উপদেষ্টা এম তারেক নূর, জনসংযোগ প্রশাসক অধ্যাপক ড. প্রদীপ কুমার পান্ডে, বিভিন্ন অনুষদের ডীন, হলের প্রাধ্যক্ষৃন্দ, সহকারী প্রক্টরবৃন্দ, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরাসহ তিন হাজারের অধিক নবীন শিক্ষার্থী এখানে উপস্থিত ছিলেন।

সাংস্কৃতিক আয়োজনের মধ্য দিয়ে শেষ হয় নবীন বরণ পর্ব।